আলোর মনি রিপোর্ট: পবিত্র ঈদ উল আযহায় লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা রেলওয়ে সেতু, তিস্তা সড়ক সেতু, শেখ হাসিনা ধরলা সেতু, শেখ রাসেল শিশু পার্ক, কালীগঞ্জ উপজেলার গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু, হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজের ও নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে স্বপরিবারে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে। এছাড়াও লালমনিরহাট সদর উপজেলার নিদাড়িয়া মসজিদ, হারানো মসজিদ, সিন্দুর মতি দীঘি, সুকান দীঘি, বিমান ঘাঁটি, মোগলহাট জিরো পয়েন্ট, হালা বটের তল, কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা জমিদার বাড়ী, তুষভান্ডার জমিদার বাড়ী, হাতীবান্ধা উপজেলার শাল বন, পাটগ্রাম উপজেলার তিনবিঘা করিডোরে পবিত্র ঈদ উল আযহার দিন হতে এখন পর্যন্ত নানা বয়সের নারী পুরুষ ও সাধারণ মানুষের জমতে শুরু করে। দূর-দূরান্ত থেকে নিজস্ব উদ্যোগে মোটর সাইকেল, রিক্সা, ভ্যান, অটোরিক্সা, ইজিবাইক, পিকাপ, কার, মাইক্রোবাস চেপে প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছে। দর্শনার্থীদের ভীরের কারণে এসব এলাকায় গ্রামীণ মেলার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দর্শনার্থীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ছোট্ট ছোট্ট অস্থায়ী নানা পণ্যের দোকান বসেছে। এসব পণ্যের দোকানে খাবার পণ্য ও শিশুদের খেলা সামগ্রী পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। বেচা বিক্রি বেশ জমে উঠেছে। পবিত্র ঈদ উল আযহার আমেজে এভাবেই কয়েকদিন চলবে।
প্রতি বছরই উক্ত স্থানগুলোতে ঈদ, পূজা, নানা উৎসব ও লোকজ সাংস্কৃতিক উৎসবে লোক সমাগম হয়ে থাকে। এ বছর দেশীয় কোন উৎসবে ও পূজোয় এসব এলাকায় জনসমাগম হয়নি। এর কারণ হচ্ছে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি চলছে। এই মহামারি বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের ছিল বিধি নিষেধ। তাই লোক সমাগম না হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পবিত্র ঈদ উল আযহার আনন্দের কাছে এসব বিধি ও করোনা ভীতি কোন বাধা হতে পারেনি। বরং এতো বেশি দর্শনার্থী এসেছে স্থানীয় প্রশাসনকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। লালমনিরহাট জেলা ও উপজলো প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, প্রথমের দিকে জনসমাবেশ করতে দর্শনার্থীদের প্রতিবন্ধকতার চেষ্টা করে ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে।
দর্শনার্থীরা জানান, নগর জীবনে বন্দী থাকতে থাকতে হাপিয়ে পড়েছি। তাই মানুষিক চাপমুক্ত ভারমুক্ত রাখতে বাচ্চাদের সাথে একটু ঘুরতে এসেছি। খোলামেলা প্রাকৃতিক পরিবেশে একটু ভালো লাগছে।